Saturday, August 27, 2016

প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত টেট উত্তীর্ণরা পাবেন চাকরি, টেট নিয়োগ-নীতি আরও স্পষ্ট করল রাজ্য

#কলকাতা: ফের খবরের শিরোনামে প্রাথমিক টেট ৷ শুক্রবার হাইকোর্টে বিচারপতি সিএস কারনান জানান, শিক্ষার মান পড়ে যাচ্ছে অবিলম্বে প্রাথমিক শিক্ষক জরুরি ৷ টেট নিয়ে মামলার জন্য, দীর্ঘসুত্রতার জন্য ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে দুই পক্ষই ৷ প্রাথমিক টেট নিয়োগ-নীতি আরও স্পষ্ট করল রাজ্য ৷ এদিন হাইকোর্টে রাজ্যের তরফ থেকে জানানো হল, প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত টেট উত্তীর্ণরাই চাকরি পাবেন আগে ৷
শূন্যপদ থাকলে নিযুক্ত হবেন প্রশিক্ষণহীনরা ৷ হাইকোর্টে এমনটিই জানালেন অতিরিক্ত অ্যাডভোকেট জেনারেল ৷ তবে এর পরেও, টেট মামলার নিস্পত্তি ঘটল না ৷ ৩০ অগস্ট পর্যন্ত স্থিতাবস্থা বহাল ৷ ৩১ অগস্ট সম্ভবত প্রাথমিক টেট মাম

লার নির্দেশ দেওয়া হবে ৷


শুক্রবার হাইকোর্টে অতিরিক্ত অ্যাডভোকেট জেনারেল জানালেন, ‘রাজ্যে ১৯ হাজার প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত আছেন ৷ প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ হবে ৪০ হাজার ৷’
তাই প্রশিক্ষণহীনদের নিয়োগে ছাড় চাওয়া হয় ৷ কেন্দ্রের কাছে ছাড় চাওয়া হয় ৷ ’ অন্যদিকে, মামলাকারী আইনজীবী জানান, ‘আদালতে রাজ্য ভুল তথ্য দিচ্ছে ৷ ২০১২-র পরিসংখ্যান দিচ্ছে রাজ্য ৷ বর্তমানে রাজ্যে ৫৪ হাজার প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ৷ অভিযোগ প্রমাণে হলফনামা দিতে চাই৷ ’ মামলাকারী আইনজীবীর আবেদন মঞ্জুর করেন বিচারপতি সিএস কারনান ৷ ৩০ অগাস্টের মধ্যে হলফনামা জমার নির্দেশ ৷ ৩১ অগাস্ট মামলার চূড়ান্ত শুনানি ৷
আইনি গেরোয় আরও জটিল হচ্ছে রাজ্যে প্রাথমিক শিক্ষক পদে প্রশিক্ষণহীনদের নিয়োগ। বৃহস্পতিবার হাইকোর্টে সরকারের অবস্থানে প্রশিক্ষণহীন পরীক্ষার্থীদের ভবিষ্যত নিয়ে বড় সড় প্রশ্ন উঠে গেল ৷
প্রাইমারি টেট মামলায় বড়সড় ধাক্কা খেলেন প্রশিক্ষণহীন প্রার্থীরা ৷ টেট নিয়ে কেন্দ্রের দেখানো পথেই ঘুরে আসতে হল রাজ্যকে। এদিন আদালতে মামলার শুনানি চলাকালীন প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করল রাজ্য সরকার ৷ বিচারপতি সিএস কারনানের সামনে এদিন রাজ্য জানায়, শিক্ষার অধিকার আইন অনুসারে সমস্ত প্রাথমিক স্কুলগুলিতে শিক্ষক নিয়োগ করতে চায় রাজ্য সরকার ৷
সেক্ষেত্রে শূন্যপদে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ও টেট উত্তীর্ণদেরই অগ্রাধিকার দেবে সরকার ৷ তাদের নিয়োগের পর যদি কোনও শূন্যপদ বেঁচে থাকে সেক্ষেত্রে প্রশিক্ষণহীনদের সুযোগ দেওয়া হবে।
এর ফলে অপ্রশিক্ষিত প্রার্থীরা কতটা সুযোগ পাবেন সে নিয়ে সংশয় রয়ে গেল ৷ অথচ রাজ্যে শিক্ষক পদে চাকরির জন্য যে ২২ লক্ষ পরীক্ষার্থী আবেদন জানিয়েছেন তাদের বড় অংশই অপ্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ৷
একদিকে প্রাথমিকে নিয়োগ নিয়ে আশার আলো দেখছেন প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত ও টেট উত্তীর্ণরা আর অন্যদিকে, প্রশিক্ষণহীন পরীক্ষার্থীদের ভবিষ্যত ক্রমশ অন্ধকারে তলিয়ে যাচ্ছে ৷
তবে কেন্দ্রের সঙ্গে দ্বন্দ্ব চালিয়ে বদনাম কুড়োতে চায় না রাজ্য। হাইকোর্টে সেই ইঙ্গিতই দিলেন সরকারি আইনজীবী। এর আগে. প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে প্রশিক্ষণহীনদের সুযোগ দিতে, গত বছর কেন্দ্রের অনুমতি চেয়েছিল রাজ্য। কেন্দ্র এবছর ৩১ মার্চ পর্যন্ত সময় বাড়ায়। অবশ্য তার মধ্যে কোনও নিয়োগ হয়নি। কিন্তু, সময়সীমা পেরিয়ে যাওয়ার পর প্রশিক্ষণহীনদের যাতে নতুন করে সময় না দেওয়া হয় সেজন্যই আদালতে মামলা করেন চিন্ময় দলুই নামে একজন প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত চাকরিপ্রার্থী। এদিন কেন্দ্রকে দেওয়া রাজ্যের সেই চিঠির কপিও আদালতে পেশ করা হয়।
চিন্ময়ের আইনজীবী এদিন আদালতকে অভিযোগ করেন, রাজ্য যখন চিঠি দিয়ে সময়সীমা বাড়ানোর আর্জি জানায়, তখনই রাজ্যে পর্যাপ্ত সংখ্যক প্রার্থী প্রশিক্ষিত প্রার্থী ছিলেন। শূন্যপদ কত, কত প্রশিক্ষিত প্রার্থী, কত অপ্রশিক্ষিত প্রার্থী, কত জন টেট উত্তীর্ণ সেই তথ্য কেন্দ্রকে দেয়নি রাজ্য।
এর আগে মামলাকারীদের বক্তব্য অনুযায়ী, সেইসময় শূন্যপদের তুলনায় ৬৯ শতাংশ বেশি প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত প্রার্থী ছিলেন। তারপরও কেন প্রশিক্ষণহীনদের জন্য ফের আবেদন করে রাজ্য? গত ৪ অগাস্টের শুনানিতে সেই প্রশ্নই তুলেছিলেন বিচারপতি কারনান।news update bangali pardesh

No comments:

Post a Comment